ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে রাজধানীসহ দেশব্যাপী জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও। টানা গরমে হাঁপিয়ে উঠেছেন সবাই। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, তাপমাত্রা খুব বেশি না হলেও বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম কিছুটা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
বুধবার (১৮ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে আগামী সপ্তাহের শুরুতে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।
যদিও মঙ্গলবার (১৭ মে) রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর, কিন্তু বৃষ্টি হয়নি। সামান্য বৃষ্টি হয়েছে গাজীপুরে। আজ বুধবারও রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। বৃষ্টির বিষয়টি নির্ভর করছে উত্তরের মেঘমালার ওপর। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা খুব বেশি না হলেও ঘামে শরীর ভিজে যাচ্ছে, অনুভূত হচ্ছে অস্বস্তিকর গরম।
দেশের উত্তর প্রান্তে বড় মেঘমালা সৃষ্টি হলেই কেবল রাজধানীবাসী বৃষ্টির আশা করতে পারে। তবে সেই আশা কম বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ। তিনি বলেন, আজ সারা দেশেই গরম কিছুটা বাড়বে। বৃষ্টির পরিমাণও কমে আসবে। কালও বৃষ্টি কম হয়েছে। তবে সব বিভাগেই দিনের একটা সময় হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। বাকি সময়জুড়ে থাকছে মেঘের লুকোচুরি খেলা।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে, ৩৭ মিলিমিটার। ঢাকায় মঙ্গলবার সকালের সামান্য বৃষ্টি হয়েছিল। রাজধানীতে আজ সকালে বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫০ শতাংশ, তা বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ হতে পারে।
তিনি বলেন, বুধবার সকাল থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সাথে বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বলেন, এ সময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামী দু’দিন পর বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। নোয়াখালী, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।