ঢাকাTuesday , 31 May 2022

শুরু হলো বাংলাদেশ-ভারত আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেস

Zero News
May 31, 2022 5:48 pm
Link Copied!

সাইফুল ইসলাম মানিক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস যাত্রীবাহি ট্রেনটি চলাচল শুরু হবে আগামী পহেলা জুন রোববার থেকে।বাংলাদেশ ও ভারত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ন করার খবরে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে নীলফামারীসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলা’র মানুষজন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের মহা-ব্যবস্থাপক অসিম কুমার তালুকদার বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের ভিসাসহ অন্যাণ্য জটিলতার অবসান হওয়ায়।আগামী পহেলা জুন রোববার থেকে মিতালী এক্সপ্রেস যাত্রীবাহি ট্রেনটি ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে ভারত সীমান্তের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের নীলফামারী’র চিলাহাটি হয়ে ঢাকা ক্যান্টমেন্ট পর্য়ন্ত চলাচল করবে।
এই ট্রেনটি ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সপ্তাহে দু’দিন রবিবার ও বুধবার চলাচল করবে ঢাকা’র ক্যান্টমেন্ট পর্যন্ত।বাংলাদেশের ঢাকা ক্যন্টমেন্ট থেকে নিউ জলপাইগুড়ি  পর্যন্ত সপ্তাহের সোমবার ও বৃস্পতিবার চলাচল করবে।যাত্রীবাহি মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে রংপুর বিভাগের পাসপোর্টধারী যাত্রীর জন্য দুটি কোচ বরাদ্দ রয়েছে।
এই ট্রেনে ভ্রামণকারী যাত্রীদের অবশ্যই কোভিট-১৯’র টিকা গ্রহনের সনদ থাকতে হবে।এই ট্রেনে ভ্রমনকারী যাত্রীদের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এসিবাথ-৪ হাজার ৯০৫ টাকা,এসিসিট-৩ হাজার ৮০৫ টাকা,এসিচেয়ার-২ হাজার ৭৫ টাকা। ৫ বছর পর্যন্ত অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়ে ট্রেনে ভ্রামন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।আর নীলফামারী’র চিলাহাটি স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২শত ৫০ টাকা।
মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টমেন্ট উদ্দেশ্যে যাত্রাপথে নীলফামারী’র চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে ৩০মিনিট অবস্থান করবে।গত ২৭ মার্চ এই রেলপথে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রমকারী যাত্রীবাহি মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচলের ভার্চুয়াল উদ্ধোধন করেন, বাংলাদেশের সফল রাস্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এ ভার্চুয়াল উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তছিলেন,রেলপথ মন্ত্রী নুরল ইসলাম সুজন ও ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণণ।এই রেলপথে ট্রেনটি সীমান্তের এপাড়-ওপাড় চলাচলের জন্য উদ্ধোধন করা হলেও প্রানঘাতী কোভিড-১৯’র  প্রাদুর্ভাবে ট্রেনটি চলাচল থমকে দাঁড়ায়।এই রেলপথটি দুরত্ব ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ৫শত ৯৫ কিলোমিটার।
উল্লেখ্য:ব্রিটিশ শাসন আমলে ইস্টবেঙ্গল কোম্পানি ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার এই রেলপথটি স্থাপন করে ৩টি বর্গি’র একটি স্যাটেল ট্রেন চলাচল করতো ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত।১৯৬৫ সালের তেভাগা আন্দোলনের সময় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই রেলপথটি বন্ধ করে দেয়।রেলপথটি বন্ধ থাকলেও এমিগ্রেশন কাষ্টম অফিস কর্মকান্ড চালু ছিল পাসপোর্টধারীদে’র জন্য।হঠাৎ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ২০০৪ সালে গুটিয়ে নিয়ে তা-বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ  ৫৮ বছর পর বন্ধ রেলপথটি পুনরায় বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃদেশীয় এমিগ্রেশন কাষ্টম অফিসের কার্যক্রম ও যাত্রীবাহি মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এমন প্রজ্ঞাপনের জরি করার আনন্দে ভাসছে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষজন।