ঢাকাFriday , 17 June 2022

টাঙ্গাইলের গারোবাজারে রাস্তা পাকা করণে ব্যাপক অনিয়ম

Zero News
June 17, 2022 8:58 pm
Link Copied!

মো. নুর আলম,গোপালপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল মধুপুর উপজেলার সিমানায় অবস্থিত আনারস কাঠালের জন্য বিখ্যাত গারোবাজার। আর এ গারোবাজার টু ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার কেশরগঞ্জ সড়কটিতে নিম্ন মানের ইট সুরকিসহ রড ছাড়াই আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বৃষ্টির মাঝেই কাঁদা মাখা মাটি দিয়ে করা হচ্ছে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ।

আজ ১৭জুন শুক্রবার দেশের প্রায় সকল জেলাতেই সকাল থেকেই বৃষ্টি। স্থানীয় গারোবাজার এলাকাতেও সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিম্ন মানের কাজ বৃষ্টিতে শেষ করার পর দোষ দেওয়া হবে বৃষ্টির কারনে নষ্ট হয়ে গিয়েছে এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আরসিসি ঢালাইয়ে রড দেওয়ার কথা থাকলেও কোন রকম রড ছাড়াই দেওয়া হচ্ছে ঢালাই। ব্যবহার করা হচ্ছে সামান্য সিমেন্ট যা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যাচ্ছে। তাই রাস্তায় নিযুক্ত শ্রমিকরা কাঁদা মাখা মাটি দিয়ে প্রলেব দিয়ে কাজ শেষ করছেন।

রাস্তার পাশে থাকা দোকান মালিকরা বলেন, কয়েকদিন আগেও কাঠফাটা রোদেও বন্ধ ছিলো কাজ।গারোবাজার হতে কেশরগঞ্জের এ রাস্তাটি কাঁচামাল ও মমুর্ষ্য রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গারোবাজারে আনারস কাঠালসহ কৃষি ফসলের জন্য সারা বাংলাদেশেই পরিচিত। এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ঠিকাদারের গাফিলতি ও নিম্ন মানের ইট সুরকি দিয়ে কাজ করায় ক্ষিপ্ত সাধারণ জনগণ। তারা  অভিযোগ করেন এ নিম্ন মানের কাজের জন্য স্থনাীয় নেতাসহ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দায়ী।

ইতোমধ্যে এ সড়কটিতে নিম্নমানের ইট সুরকি এবং রড ছাড়া ঢালাইয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের একাধিক আইডি থেকে পোস্ট করেছে স্থানীয় ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। এত বড় দূরনীতি হচ্ছে তবুও দেখার কেউ নেই। কিছু এলাকার নামধারী নেতার ছত্রছায়ায় এ বৃষ্টির মাঝেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার। আরসিসি ঢালাইয়ের নামে চলছে নাটক।

ঘাটাইল আসনের মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব আতাউর রহমান খান এ আরসিসি ঢালাইয়ের উদ্বোধন করলেও পরবর্তী সময়ে নেননি কোন খোঁজ খবর। এমনকি লক্ষিন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একাব্বর আলী বা স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধি নেননি কোন তদারকি। তাই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি নিম্ন মানের কাজ করছে অনায়াসেই এমনটাও জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে গারোবাজারের ও নতুন বাজারের কয়েকজন বলেন, কিছু অসাধু নেতার যোগসাজশে কন্টাক্টারের সাথে মিলে মিশে এ দূর্নীতি করছে। ঠিকাদার বা কন্টাক্টার কাজের স্থলে আসতেই দেখা যায় না। রাস্তার শ্রমিকরাই ড্রয়িং থেকে শুরু করে সকল কাজ করছেন।

স্থানীয় মো. সফিক হোসেন জানান, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা ঘটতে চলেছে গারোবাজারে। কারন? এর আগে দেখেছি বিভিন্ন রাস্তায় বাঁশের ব্যবহার হয়েছে, কিন্তু এখানে কোন প্রকার রড বা বাঁশ ছাড়া এই প্রবল বৃষ্টির মাঝেই ঢালাই কাজ করা হচ্ছে। কাঁদা মাটি দিয়ে লেপ দিয়ে রাস্তা তৈরি করার ঘটনায় বিস্মিত তিনি।

এ বিষয়ে লক্ষিন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একাব্বর আলীকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি এবং রাস্তায় কাজ করা শ্রমিকরা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে নারাজ প্রকাশ করেন।

এ ঘটনায় বহু প্রতিক্ষিত ও দীর্ঘদিনের কষ্টের পর আশারবাণী পেলেও সেখানে দূর্নীতি আর নিম্নমানের কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে গারোবাজারবাসী সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং মাননীয় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানা গিয়েছে।