ঢাকাTuesday , 21 June 2022

গাইবান্ধায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি ।

Zero News
June 21, 2022 1:26 pm
Link Copied!

মোঃ শাকিল মিয়া,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ।

বৃষ্টি ও উজানের বলে গাইবান্ধায় নদ – নদীর পানি বেড়েছেই চলেছে এতে প্রতিদিনিই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এখন পর্যন্ত জেলার সদর , সুন্দরগঞ্জ , ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২০ টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক চরাঞ্চল ও নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে । এসব এলাকার ১০ হাজার পরিবারের ৪০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে । সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ( পিআইও) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন । বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শতশত বিঘা জমির পাট , বাদাম , তিল ও কাউনসহ বিভিন্ন শাকসবজি ক্ষেত ।তবে কি পরিমান জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার কোনও তথ্য নেই জেলার কৃষি বিভাগের এ ছাড়া পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । বাড়িঘরে পানি ওঠায় অনেক পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সহ উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে এরই মধ্যে সদরের দুটি ও সাঘাটা উপজেলার একটি সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে চার শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে । চরাঞ্চল ও নিম্নঞ্চল রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় অনেক এলাকায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে বিশেষ করে দূগত এলাকার মানুষরা তাদের গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে ।

২০ ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক চরাঞ্চল ও নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে । গাইবান্ধা সানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব অপারেটর খায়নুর নাহার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ঘাঘট নদীর পানি শহর পয়েন্ট বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার এবং যমুনার পানি ফুলছড়ি পয়েন্ট ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তবে তিস্তা ও করতোয়া পানি এখনও নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । এদিকে ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার উপরে হওয়ার শহররক্ষা রাধের কয়েকটি জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে । এছাড়া বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর উপজেলার বাগুরিয়া থেকে কামারজানি পযন্ত ব্রক্ষপুএ বনলতার নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কিছু জায়গায় । এর ই মধ্যে পানির চাপে সাঘাটা উপজেলার দক্ষিণ উল্যা গ্রামে শ্মশানঘাট সড়কের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে গেছে ফলে আতস্কে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা ।

এছাড়া পানি বৃদ্ধি সঙ্গে চার উপজেলার নদীর তীরবর্তী অন্তত ২০ টি পয়েন্ট নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ভাঙ্গনে এর ই মধ্যে বিলিন হয়েছে কয়েক বাড়িঘর , গাছপালা ও ফসলি জমিসহ স্থাপনা । বনলতা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি কথা জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দায়িত্ব থাকা সহকারী কমিশনার ও এক্সকিউিটিভ ম্যাজিস্টেট এস এমন ফয়েজ উদ্দিন ।

বন্যা মোকাবলিায় সব ধরনরে প্রস্তুতরি কথা জানয়িছেনে জলো ত্রাণ ও পুর্নবাসন র্কমর্কতার দায়ত্বিে থাকা সহকারী কমশিনার ও এক্সকিউিটভি ম্যাজস্ট্রিটে এসএম ফয়জে উদ্দনি। তিনি জানান , চার উপজেলার বনলতা দূগত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মাধ্যমে তালিকা করে এসব চাল বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

এ ছাড়া আট হাজার শুকনো খাবাররে প্যাকটে মজুতের পাশাপাশি ৪০০ শতাধিক তাঁবু, স্থায়ী ১০টিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরঅস্থায়ী আশ্রয় আশ্রয় কেন্দ্রে মেডিক্যাল টিম এবং বেশকিছু নৌকা প্রস্তুত রাখার কথাও জানান তিনি ।