ঢাকাWednesday , 22 June 2022

শ্রীপুরে ১১বছর পর জনশুমারি, ডিজিটাল পদ্ধতি সঠিকভাবে গণনা সম্পন্ন 

Zero News
June 22, 2022 7:56 pm
Link Copied!

আবুসাঈদ, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ

দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ দীর্ঘপথ পরিক্রমায় বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে দেশ। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্বের অর্থনীতির চাকা পুনরায় সচল করতে তথ্যপ্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

বর্তমান সরকারের বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগ মানুষকে দেখিয়েছে নতুন স্বপ্ন, নতুন পথ, জুগিয়েছে প্রেরণা। সরকারঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অবদান রাখার পাশাপাশি যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়োপযোগী, নির্ভুল তথ্য দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবারই প্রথম ‘ডিজিটাল শুমারি’ পরিচালনার সারা দেশের মতো গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলা ১৫ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ২১ তারিখে সুষ্ঠু ভাবে জনশুমারি ও গৃহগণন কাজ ডিজিটাল পদ্ধতি সঠিকভাবে গননা সম্পন্ন হয়েছে।

জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা প্রণয়নে নিয়োজিত পরিকল্পনাবিদ, নীতিনির্ধারক, সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, এনজিও এবং সর্বোপরি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য আর্থসামাজিক, জনতাত্ত্বিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, জাতীয় হিসাব নিরূপণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, সংকলন ও প্রকাশের গুরুদায়িত্ব জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা হিসেবে বিবিএস পালন করে আসছে।

নিয়মিত এসব কার্যক্রমের মধ্যে জনশুমারি ও গৃহগণনা অন্যতম। দেশের প্রতিটি খানা ও খানার সদস্যদের গণনা করে মোট জনসংখ্যার হিসাব নিরূপণ, দেশের সব বসতঘর/বাসগৃহের সংখ্যা নিরূপণ, দেশের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহ, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণের নিমিত্তে তথ্য সরবরাহ এবং জাতীয় সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো উপপরিচালক জাহিদ হাসান এর নির্দেশনায় শ্রীপুর উপজেলার জনশুমারি ও গৃহগণনা  সমন্বয়কারি মোঃ স্বপন মিয়া নেতৃত্বে শ্রীপুর উপজেলায় ২৩ জন জোনাল অফিসার,  ২৩ জন আইটি অফিসার, ১৯৪৯ জন শুমারি কমী মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইস ট্যাবলেট ব্যবহার করে কম্পিউটার অ্যাসিসটেড পারসোনাল ইন্টারভিউং (সিএপিআই) পদ্ধতিতে সাধারণ খানা, প্রাতিষ্ঠানিক খানা ও বস্তি খানা, ভাসমান/ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী, খানার বাসগৃহের সংখ্যা ও ধরন, বাসগৃহের মালিকানা, খাবার পানির প্রধান উৎস, টয়লেট সুবিধা, বিদ্যুৎ সুবিধা, রান্নার জ্বালানির প্রধান উৎস, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, বৈদেশিক রেমিট্যান্স ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ।

এছাড়া গণনাকারীরা খানায় বসবাসরত সদস্যদের জনতাত্ত্বিক ও আর্থ-সামাজিক তথ্য যেমন- বয়স, লিঙ্গ, খানাপ্রধানের সঙ্গে সম্পর্ক, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, প্রতিবন্ধীতা, শিক্ষা, কর্ম, প্রশিক্ষণ, মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার, ব্যাংক/মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, জাতীয়তা, নিজ জেলা ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।

সহজে ও সুনির্দিষ্টভাবে শুমারির গণনা এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং কোনো খানা গণনা থেকে বাদ না পড়া বা একাধিকবার গণনা না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ও গুগল সমন্বয় করে ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।