পদ্মা সেতুর খুলে দেওয়ার প্রথম দিনে (রোববার) ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেতুতে ছবি তোলা, টিকটক বানানো, নাট-বল্টু খোলা, মূত্র বিসর্জন,বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো, টোল প্লাজার ব্যারিয়ার ভাঙন ও মালামাল-যন্ত্রপাতি চুরির মতো নানান ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এ ধরনের বিশৃঙ্খলা রোধে সেতু পারাপারে যাত্রী সাধারণকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২৭ জুন) এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু দেশের একটি বড় সম্পদ এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্থাপনা। এর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।
তাই সেতু পারাপারে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যেসব নির্দেশনা জারি করেছে, তা যথাযথভাবে পালন করে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে ২৭ জুন সোমবার ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
এদিকে পদ্মা সেতু পারাপারে সাধারণ মানুষের জন্য নির্ধারিত আইন যথাযথভাবে পালনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সোমবার টোল প্লাজায় মাইকিং করে মানুষকে সচেতনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও টহল দিতে দেখা গেছে।
সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রোববারের বিশৃঙ্খলার কারণে সেতুর নিরাপত্তা, মানুষের নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা রোধে নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকে সেতুতে সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছে।