ঢাকাWednesday , 29 June 2022

লালমনিরহাট তিস্তা,সানিয়াজান ও ধরলা নদীর পানিবৃদ্ধি নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

Zero News
June 29, 2022 5:47 pm
Link Copied!

মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফা, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাটে আবারও তিস্তা ও ধরলা, সানিয়াজান নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নতুন করে নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

২৯ জুন দুপুর ১২টায় জেলার হাতীবান্ধায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সে. মি. ওপরে ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ২৩ সে.মি. ওপর নতুন করে সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও বন্যা তথ্য কেন্দ্র আগামী ২৪ ঘন্টায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পূর্বাভাস দিয়েছেন।

গত এক মাসেই কয়েক দফা বন্যায় অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

তিস্তা ধরলা ও সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী,দোয়ানী,ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া,হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি,আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,কালমাটি,পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ,কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি,রাজপুর,গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পানি প্রবেশে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গত ১ সপ্তাহের বন্যার জের কাটতে না কাটতেই আবারও বন্যা মরার ওপর খড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে। খাদ্য ও নিরাপদ পানি সংকট, ও পয়োঃনিস্কাশন ব্যাবস্থা অবনতি সহ স্বাভাবিক চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দী এসব মানুষ। নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত হয়ে পড়েছে। পশুপাখি ও গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন এসব বানভাসি মানুষ। গরু ছাগলের খাদ্য-সংকট সহ নিরাপদ স্থানে রাখতেও ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় লালমনিরহাট জেলায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়াও আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা ও ধরলা পাড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির পূর্বাভাস জানিয়েছেন বন্যা তথ্য কেন্দ্র।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তা ধরলা ও সানিয়াজান নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় পানি আরও বাড়তে পারে। আমরা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।