সারাদেশে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে চারিদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডিস মশার বিস্তার থাকে অনেক বেশি। এ সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুমও বলা হয়। এ সময়ের তাপমাত্রা, বাতাসের আর্দ্রতা ও বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব।
এ কারণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সতর্কতা থাকা প্রয়োজন। সময়মতো চিকিৎসা না করালে এই জ্বর প্রাণঘাতী পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে কোনটি ডেঙ্গু জ্বর আর কোনটি সাধারণ জ্বর, তা নিয়ে অনেকেই দ্বন্দ্বে থাকেন। তাই জ্বর হওয়ার প্রথম দুই দিনের মধ্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৩১১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৭১ জন এবং ঢাকার বাইরে ৩৪০ জন রোগী ভর্তি। আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ২৩২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৮ হাজার ৮৮১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের।
প্রতিরোধে করণীয়ঃ
ডেঙ্গু প্রতিরোধের মূলমন্ত্র এডিস মশার বিস্তার রোধ করা। ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এ মশা তুলনামূলক পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানিতে বিস্তার করে। বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে সবচেয়ে বেশি। এ সময় বাড়ির আশপাশে পানি জমে এমন যায়গা, বদ্ধ জলাশয় পরিষ্কার রাখতে হবে। ফ্রিজ ও এসির পানি যেন না জমে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ফুলের টবে পানি জমতে দেবেন না। অব্যবহৃত কৌটা, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে।
এ ছাড়া দিনে ঘুমালে মশারি ব্যবহার করুন বা অ্যারোসল স্প্রে করুন। ডেঙ্গু মৌসুমে বাইরে গেলে হাত-পা ঢেকে থাকে, এমন পোশাক পরুন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে সব সময় মশারির ভেতরে রাখুন। ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরপরই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।