নিখোঁজের ৩ দিন পর বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করা হলেও তার সঙ্গে থাকা পলাশের খোঁজ এখনও মিলছে না। ধারণা করা হচ্ছে, পলাশকেও হত্যা করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার রাতে ফারদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছিলেন। এসব জায়গায় তিনি মোটরসাইকেলে যেতে পারেন। আর সেই মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন পলাশ। তার বাড়ি রামপুরায় বলে জানা গেছে।
তদন্ত সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ফারদিনের সঙ্গে পলাশকেও হত্যা করা হতে পারে। কারণ, ওই দিনের পর থেকে পলাশের খোঁজও মিলছে না। তবে, এসব নিশ্চিত হওয়ার জন্য একাধিক সংস্থা অনুসন্ধান শুরু করেছে।
এদিকে ফারদিন হত্যাকাণ্ডে ডেমরা-রূপগঞ্জ সংলগ্ন চনপাড়া বস্তির একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র সম্পৃক্ত বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। চনপাড়ায় এক নারীর বাসাসংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এসব ঘটনার প্রাথমিক তথ্য পেয়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চনপাড়ায় অভিযান চালিয়েছে। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা, এ ব্যাপারে তারা মুখ খোলেনি।
এদিকে ফারদিনের ছোট ভাই আব্দুল্লাহ বিন নূর তাজিম বলেন, ফারদিনের মাদকের সঙ্গে সংশ্নিষ্টতা তো দূরের কথা সে কখনও সিগারেট খায়নি।
তিনি বলেন, ফারদিন কেনো চনপাড়ায় গিয়েছিলেন, সেটা পুলিশ তদন্ত করে বের করুক। কেউ তাকে অপহরণও করতে পারে।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, মামলাটি ডিবি তদন্ত করছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিন দিন পর গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের বনানী ঘাট সংলগ্ন লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলের পেছন দিক থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হন তিনি।