ছাড়পত্রহীন ডাইং ও ওয়াশিং কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।
আদেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছেন আদালত। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পরিবেশ দূষণকারী কারখানা কেন বন্ধ করা হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কাওসার হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন ও সামসুন নাহার লাইজু।
গত ৩ নভেম্বর মেহেদী হাসান নামে গাজীপুরের এক বাসিন্দা এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে রিট আবেদন করেন। এ বিষয়ে শুনানি শেষে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনে বলা হয়, বিধি মোতাবেক ডাইং ও ওয়াশিং কারখানা স্থাপনের জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক। অনেক ওয়াশিং ও ডাইং কারখানার পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য যে মানদণ্ডে উন্নিত হওয়া দরকার তা নেই। এ জন্য তারা ছাড়পত্র পায়নি। ছাড়পত্র না থাকার পরও কারখানাগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় পরিবেশের ভারসাম্য।
গাজীপুর জেলায় এ জাতীয় পরিবেশগত ছাড়পত্রহীন ডাইং ও ওয়াশিং কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়।