মো.নাহিদুল হক, কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড’র (পাউবো) জায়গা অবৈধভাবে দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পৌর শহরের নতুন বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের দুপাশে এ সকল অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এমনটি হচ্ছে বলে ধারনা করছেন অনেকে। তবে জনবল সংকটসহ বিভিন্ন জটিলতার কারনে এগুলো উচ্ছেদ ও উদ্ধার করতে সময় লাগছে বলে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানান।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর শহরের নতুন বাসষ্ট্যান্ড উত্তর মহাসড়কের দুপাশেই একাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের অনেকেরই দালিলিক কোন কাগজ পত্র নেই। এরমধ্যে পজিশন ক্রয়-বিক্রয়ের ঘটনাও রয়েছে। দীর্ঘ বছর ধরে এভাবেই পাউবো’র জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে তারা। ক্ষেত্রবিশেষে উচ্ছেদ অভিযান হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের কারনে মাঝপথেই তা বন্ধ হয়ে যায়।
জানা যায়, ১৯৬৭ সালে ১৬১/১৯৬৭-৬৮ নং এলএ কেসের মাধ্যমে ৪৩/১বি পোল্ডারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নামে মহাসড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহন করা হয়। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নামে ৭ নং খতিয়ানে বিএস রেকর্ডভুক্ত হয়। কিন্তু অলৌকিকভাবে তা এখনও অবৈধ দখলেই রয়েছে।
স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী কেরামত খাঁন বলেন, ওই জমির এস.এ রেকর্ড তাদের নামে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নামে বিএস রেকর্ড হওয়ায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
ব্যবসায়ী ইব্রাহীম তালুকদার জানান, পজিশন ক্রয় করে ভোগদখলে রয়েছেন। অনেকেই স্থায়ী বিল্ডিং করায় তিনিও নির্মাণ করেছেন। তবে সরকার চাইলে জায়গা ছেড়ে দিবেন।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। তদুপরি এবিষয়ে ডিসি মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।