এম. দলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নে সোনাইছড়িখাল পুনঃখননকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইতিমধ্যে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েক দফা হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। একপক্ষের দাবি-খালটি সরকারী সিট অনুযায়ী পুনঃখনন করার। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তা না মেনে এলাকার কবরস্থান ও রাস্তা কেটে খালটি পুনঃখননের চেষ্টা করছে। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেশি লাভবান হওয়ার জন্য সরকারী সিট অনুযায়ী খালটি পুনঃখনন করছে না।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৪ অর্থ বছরে ‘চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় সোনাইছড়ি খালের ২ কিলোমিটার পুনঃখনন কাজের বরাদ্দ ২৪ লাখ টাকা। খননের পর খালের প্রস্থ হবে ২৬ ফুট আর গভীরতা ১০ ফুট। কয়েক সপ্তাহ আগে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জেলা প্রশাসক বরাবরে দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার অন্তর্গত বড়হাতিয়া মৌজাস্থ ৬ নং সিটের আর.এস. দাগ নং- ৭২৮৮, বি.এস. দাগ নং- ৩৫৭৯৬, ৩৫৭৫৩, ৩৫৭৯৭, ৩৫৭৯৮ দাগাদীর আন্দর টিলা শ্রেণির জায়গাটি বিগত প্রায় ১০০ বৎসর পূর্বে হইতে অত্র এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের কবরস্থান। কবরস্থানটিতে এলাকার হাজার হাজার পূর্বপুরুষ ও মুরব্বিগণ শায়িত আছেন। স্থানীয় একটি চক্র নানা কৌশলে কবরস্থানের দিকে খালটি প্রবাহিত করে দেয়। এতে কবরস্থানের বিশাল জায়গায় খালে বিলীন হয়ে গেছে। এখন খালটি পুনঃখননের মাধ্যমে আবারও কবরস্থানের ওপর দিয়ে পুনঃখনন করলে আরও কবর ও কবরস্থানের জায়গা খালে বিলীন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ৫ মে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়। ইউএনও চেয়ারম্যানকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন। কিন্তু চেয়ারম্যানও এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আহমদ কবির জানান, প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা একটি পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করে সরকারি সিট অনুযায়ী খালটি পুনঃখনন না করে কবরস্থানের ওপর দিয়ে করার চেষ্টা করছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। একারণে আমরা ডিসি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ইউনিটের উপসহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) মো. ইকবাল হোসেন’ র মুঠোফোনে একধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ওনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।