ঢাকাWednesday , 29 May 2024

বিদেশে থাকা বেনজীর পরিবারের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

Zero News
May 29, 2024 3:40 pm
Link Copied!

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিদেশে থাকা সম্পদের অনুসন্ধানেও নেমেছে দুদক। মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশে তাদের সম্পদ রয়েছে কি না, সেসবেরও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে দুদকের তিন সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হাফিজুল ইসলামের সই করা চিঠি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বিদেশে সম্পদের খোঁজ নেওয়ার জন্য দুদকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিএফআইইউ মূলত দেশ থেকে অর্থ পাচার ঠেকাতে নীতিমালা প্রণয়ন ও সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে। সংস্থাটি ‘এগমন্ট গ্রুপ’ নামের একটি ফোরামের সদস্য। এই ফোরাম বিশ্বের ১৭০টি দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত; যারা অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কাজ করে।

দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, শুধু দেশের সম্পদই নয়, আমরা বিদেশে থাকা সম্পদের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছি। যদি সম্পদ অবৈধ হয় তাহলে আদালত রাষ্ট্রের অনুকূলে তা বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন। এ জন্য অনুসন্ধান পর্যায়ে তার (বেনজীর) সম্পদ ফ্রিজ (জব্দ) করা হয়েছে। কারণ তা না করলে এসব সম্পদ হস্তান্তর হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার (২৮ মে) অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী জীশান মীর্জাসহ তাদের দুই মেয়ে ফারহিন রিসতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে আগামী ৬ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের হাজির হতে বলা হয়েছে।

আদালতের আদেশে ইতোমধ্যে বেনজীর পরিবারের মালিকানাধীন রাজধানীর গুলশানে বিশালাকৃতির বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, গোপালগঞ্জে ৩৪৫ বিঘা এবং মাদারীপুরে ২৭৩ বিঘা জমি জব্দসহ অসংখ্য ব্যাংক ও বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করেছে দুদক।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন বেনজীর আহমেদ। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার এবং র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘন করার অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‍্যাব এবং র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। যদিও তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানে কমিটি করে দুদক। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় যে বিপুল সম্পদ গড়েছেন, তার বেশির ভাগই আইজিপি পদে আধিষ্ঠিত হওয়ার পর কেনেন বেনজীর আহমেদ।