পিআইডি পানি সম্পদ ও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আজ জানান, চীন পানি সংরক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করতে এবং দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রচারের প্রস্তাব দিয়েছে। চীন পানি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ভাগাভাগি করতে, একটি স্মার্ট পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এবং বন্যার সময় তথ্য আদান-প্রদান বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।
সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং পরিবেশ উপদেষ্টার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে পানি ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশগত টেকসইতায় দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশি ও চীনা পানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ কমিটি গঠন এবং সহযোগিতার সুপারিশ করেন রিজওয়ানা।
এই প্রচেষ্টা নদী ব্যবস্থাপনা, বন্যা প্রতিরোধ এবং অবকাঠামো প্রকল্পে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে, যা উভয় দেশকে উপকৃত করবে।
তিনি পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতার জন্য দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের গুরুত্বের উপর ও নজর দেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রতি চীনের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উল্লেখ করেন যে চীন সত্যিকারের বন্ধু। তিনি একই সাথে নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা, সৌর শক্তি, বৈদ্যুতিক যানবাহন, জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, স্মার্ট ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এবং হাইড্রোলজিক্যাল ডেটা আদান-প্রদানে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি মন্তব্য করেন বাংলাদেশ তার নদীগুলিকে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করে দেশের আরো উন্নতি ঘটাতে পারে।
পরিশেষে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গভীরতা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে উভয় পক্ষের বৈঠকের সমাপ্তি ঘটে।