ঢাকাSaturday , 21 May 2022

বন্যায় বাড়ছে দুর্ভোগ, আশ্রয়ের খোঁজে মানুষ

Zero News
May 21, 2022 7:33 pm
Link Copied!

সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। টানা সময় ধরে পানিবন্দি অবস্থায় নিরুপায় হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়ের খোঁজে অন্ত্র যাচ্ছেন বন্যা কবলিত মানুষজন।

শনিবার (২১ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়। এ সময় আসবাবপত্র, হাঁসমুরগি, গৃহপালিত পশু সরিয়ে নিচ্ছেন উঁচু স্থানে। কেউ কেউ এসব ফেলেই পরিবার নিয়েই আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় স্কুল কিংবা ফ্লাড সেন্টারে।

জানা গেছে, বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও স্যানিটেশন সুবিধা না থাকায় বন্যা কবলিত এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলো চরম কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। পরিবারের শিশু ও বয়স্ক সদস্যরা পড়েছেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এসব এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানি-বাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এছাড়াও শহরের পূর্ব সুলতানপুর এলাকা থেকে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে আশ্রয় নিয়েছেন অর্ধশতাধিক পরিবার। বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বন্যার পরে পুনর্বাসন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এসব পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে উজানের পানি ধীরে ধীরে ভাটি এলাকা থেকে চাপ সৃষ্টি করায় নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে জেলার জগন্নাথপুর, শান্তিগঞ্জ, দিরাই,শাল্লা উপজেলার নতুন নতুন এলাকা। এতে রাস্তা-ঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থানসহ বিভিন্ন স্থাপনা ডুবে যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষ।

ভারত-মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম।

আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মনোয়ারা বেগম বলেন, আমার পরিবারের ৬ জন সদস্য নিয়ে গেল ৬ দিন ধরে কলেজে উঠেছি। ঘরবাড়িতে কোমর পানি। পানি আমার সব শেষ করে দিছে।

আবুল কালাম নামের আরেকজন বলেন, তিনদিন ধরে আছি, কাজকাম নেই। চালপাত বা হাতে টাকাও নেই। ৫ সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে সময় পার করছি।

নাছিমা আক্তার বলেন, চারদিন পর আজ শনিবার ডিসি আর মেয়র সাহেব কিছু চাল দিয়ে গেছেন। অস্থায়ী চুলায় খিচুড়ি করে ছেলেসন্তানদের দিচ্ছি। আমার শ্বাশুড়ি আর এক বাচ্চা ডায়রিয়াতে ভুগছে।

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বন্যার্ত এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জিয়ার চাল, নগদ টাকা ও শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়নি। আমরা তাদেরও খোঁজখবর নিচ্ছি। সেখানও ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে।