ঢাকাMonday , 30 May 2022

লালমনিরহাট হাতীবান্ধায় দেবরের লাথিতে  গর্ভপাত  হলো ভাবীর   এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে 

Zero News
May 30, 2022 2:08 pm
Link Copied!

মোস্তাফিজুর রহমান লালমনিরহাট  জেলা প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মিতু বেগম (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পেটে লাথি মেরে গর্ভপাত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে  দেবর, মামা শশুড় ও ননদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। 
গত (২৭ মে) শুক্রবার বেলা বারোটার দিকে ওই  উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ  পারুলীয়া এলাকায় ভুক্তভোগীর নিজ বাড়ির সামনে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে ওইদিন রাতে ভুক্তভোগীর স্বামী শাহিন ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাদী শাহিন ইসলামের সাথে আপন ভাই দুইভাই দুলু, হারানো ও বোন রেহেনা এবং মামা হজরতের বিরোধ চলছিলো। এমতাবস্থায় গত শুক্রবার দুপুরে নিজ বাড়ীর পাশের একটি গাছ বাগানে অন্তঃসত্ত্বা নারী মিতু বেগমের সঙ্গে অভিযুক্তদের বাকবিতন্ডা হয়। এর একপর্যায়ে দেবর দুলু ও হারানোসহ মামা হজরত আলী অন্তঃসত্ত্বা মিতুর ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় দেবর দুলু ও হারানোর লাথির আঘাতে দুই মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয় যায় ভাবী মিতুর।  এ সময় স্ত্রীর চিৎকার শুনে বাঁচাতে স্বামী শাহিন ইসলাম এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয় ।তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মিতুর অবস্থা আশঙ্কাজন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর হাসপাতালে প্রেরন করেন।
অভিযোগ উঠেছে, এ সময় মামা হজরত আলী অন্তঃসত্ত্বা মিতুর চুলের মুঠি ধরে পরনের কাপড় বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করেন। এ ছাড়া মিতুর কানে থাকা প্রায় ২০ হাজার টাকার স্বর্ণের ঝুমকা ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা।
স্বামী শাহিন ইসলাম বলেন, আমার আপন দুই ভাইয়ের সঙ্গে অনেক আগে থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিবাদ চলছে। তারা এই বিবাদের জেরে আমার গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে অকাল গর্ভপাত করে সন্তান নষ্ট করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক চিকিৎসক ডা : আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি দুই মাসের প্রেগন্যান্ট ছিলো পেটে আঘাতের কারনে তার প্রচুর ব্লেডিং হয়।  ফলে তার প্রেগনেন্সি নষ্ট হয়ে যায়। আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।