সোলায়মান হোসাইন রুবেল, নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় পৃথক স্থান হতে রানা আহমেদ (১৫) ও মো. নাসির উদ্দিন (১৬) নামে দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ মে) ভোরে দুই কিশোরের মধ্যে রানার আহমেদের মৃতদেহ কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নাসির উদ্দিনের মৃতদেহ বাড়ির পাশে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রানা আহমেদ উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত ঘেষে রাজাবাড়ি গ্রামের জালাল উদ্দিন ও আলেয়া দম্পত্তির ছেলে। সে নবম শ্রেণি পড়ূয়া শিক্ষার্থী ছিলেন এবং তার বাবা গ্রাম পুলিশের একজন সদস্য। আর নাসির উদ্দিন একই উপজেলার খারনৈই ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বাতেন ও সেতেরা বেগমের ছেলে। পরিবারে দাবি নাসির মৃগীরোগী ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রানা আহমেদ গত সোমবার রাতের খাবার খেয়ে তার ছোট চাচা আজিমের মোটর সাইকেল নিয়ে চালানো শিখতে বের হন। রাত অনুমান ১২টার দিকে রংছাতি ইউনিয়নের শালিকাবাম নামক এলাকায় পাকা রাস্তায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি আম গাছের সাথে ধাক্কা লেগে লুটিয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা রানাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানকার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীম রানা শাকিল রানাকে মৃত ঘোষনা করেন।
অপর আরেক ঘটনায় নাসির উদ্দিনে গত সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে নানা সিদ্দিক মিয়ার বাড়িতে যাবে মাকে (সেতেরা বেগম) এই বলে বের হন। বাড়িতে ফিরতে দেরি দেখে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজির করতে থাকেন। পরে মধ্যরাতে নাসিরের সম্পর্কে নানি (ফিরোজা খাতুন) বাড়ির পাশে পুকুরে একটি চেয়ার ভাসতে দেখেন। সেটা তোলে আনার সময় পানির নিচে নাসিরের মৃতদেহ পায়ে লাগে। ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন নাসিরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। ভোরের দিকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
পৃথক স্থানে দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোকন কুমার সাহা বলেন, নাসিরের মৃতদেহ বাড়ি থেকে ও রানার লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহত দুই পরিবারই মরদেহ ময়না তদন্ত না করার আবেদন করেছেন। ঊর্ধ্বতনের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।