ঢাকাWednesday , 8 June 2022

শরণখোলায় প্রধান শিক্ষকের বাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

Zero News
June 8, 2022 12:00 pm
Link Copied!

মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ, শরণখোলা-বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নান্না মিয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৭ জুন) বেলা ১১টার দিকে প্রতিপক্ষের মহিদুল হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন লোক দা, লাঠিসোটা নিয়ে ওই শিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হয়। তারা সীমার পিলার তুলে ফেলে এবং বেড়া ভাঙচুর করে বাড়ির পূর্ব অংশের জমি দখলের চেষ্টা চালায়।

এসময় শিক্ষকের স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন বাড়িতে একা ছিলেন। তিনি দখলে বাধা দিতে গেলে তাকে লাঞ্ছিত করে ওই দখলবাজরা। হামলার খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক নান্না মিয়া বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে গেলে তাকেও মারার জন্য তেড়ে আসে তারা। এঘটনায় শরণখোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিক্ষক।

এদিকে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের খবর শুনে বিদ্যালয় ছুটির পর বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ ছাত্রছাত্রী। তারা স্থানীয় রাজাপুর বাজারে মিছিল করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় প্রশাসনের কাছে।

প্রধান শিক্ষক নান্না মিয়া বলেন, উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের রতিয়া রাজাপুর গ্রামে  ৮৩.৫০ শতক জমি কিনে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ করে ২০০৮সাল থেকে বসবাস করে আসছি।কিন্তু আমার বাড়ির মধ্যে জমি পাবেন বলে দাবি করেন একই গ্রামের আ. সামাদ হাওলাদারের ছেলে মহিদুল হাওলাদার। এনিয়ে স্থানীয় গণমান্যদেন নিয়ে দুই দফা সালিস বৈঠকে আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন সালিসগণ। কিন্তু তারপরও জোরপূর্বক আমার বসত বাড়ির পেছনের অংশ দখলের চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষ।

শিক্ষক নান্না মিয়া আরো বলেন, সকালে আমি বিদ্যালয়ে চলে যাই। বাড়িতে আমার স্ত্রী একা ছিলেন।এই সুযোগে সন্ত্রাসী প্রকৃতির মহিদুল এবং তার ভাই ছগির হাওলাদার ১৫ থেকে ১৬ জন লোক নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা দা, লাঠিসোটা নিয়ে তান্ডব চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাড়ির পেছনের অংশের সীমানার পিলার তুলে ফেলে এবং বেড়া ভাঙচুর করে। আমার স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করেছে। আমাকেও মারার জন্য ধাওয়া করে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে পরিবার নিয়ে আতঙ্কে আছি।

এব্যাপারে প্রতিপক্ষের মহিদুল হাওলাদার জানান, তিনি শিক্ষকের বাড়ির মধ্যে জমি পাবেন। সেই জমি দেখতে গিয়েছিলেন। তারা কাউকে লাঞ্ছিত বা কোনো ভাঙচুর করেননি।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, এঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্তে বিকেলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।