ঢাকাThursday , 9 June 2022

পানি বাড়ছে তিস্তায়, খুলে দেওয়া হলো সব জলকপাট

Zero News
June 9, 2022 5:56 pm
Link Copied!

কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ করে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতে পানি বেড়েছে। ফলে তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার, যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদী তীরবর্তী মানুষরা জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারতের গজলডোবা ব্যারেজে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় উজানের ঢল বেড়ে যায়। ফলে তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়েছে। যদিও এখনো জেলার তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে। তবে জেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া পানি জমেছে জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায়। এসব পানি তিস্তা ও ধরলা নদীতে চলে আসায় পানি অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও ভারত থেকে পানি বাংলাদেশে তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে ছেড়ে দেওয়াতে পানি বৃদ্ধি হয়। ব্যারেজের গেট দিয়ে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে দাবি করেছেন ডালিয়া ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।
তারা আরও জানান, তিস্তা নদীর বাম তীরের ভাঙন ও বন্যা থেকে রক্ষায় আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন এলাকায় সলেডি স্প্যার বাঁধ ২ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত বছর কিছু অংশে ভাঙন দেখা দিলে তা সংস্কার শুরু করে। সেই সংস্কার কাজ শেষ হতে না হতেই আবারও সেটি ভেঙে যাচ্ছে। এতদিনে পানি কমে গেলেও এবার সেটির কোনো কাজ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড।

স্থানীয়রা জানান, শুকিয়ে যাওয়া মৃত প্রায় তিস্তা আবারো ফুলে ফেঁপে উঠেছে। পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী জেলেদের কর্মব্যস্ততা দেখা দিয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। ব্যারেজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিবছর জুন মাসে একটি বন্যা দেখা দেয়। তাই তিস্তা পাড়ের মানুষের সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।