মোঃ শাকিল মিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধায় ইমাম-ওলামা পরিষদের মিছিল থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আট জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় শতাধিককে আসামি করা হয়। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে।
রবিবার (১২ জুন) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, সম্মেলন মঞ্চে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পৌর আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ হাসান শাওন বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মামলায় আট জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে দেড় শতাধিককে। মামলার পর বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় চার জনসহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
বাদী ওয়াজেদ হাসান শাওন বলেন, ‘কোনও কারণ ছাড়াই পূর্ব নির্ধারিত পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চে হামলা ও ভাঙচুর চালায় মিছিলকারী। এ সময় চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে ও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক মামলা করেছি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল বের হয়। জেলা ইমাম-ওলামা পরিষদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি ইসলামী দলের ব্যানারে এই মিছিল হয়। মিছিলটি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বের হয়ে কাচারিবাজার মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। তারা সেখানে সমাবেশ করেন।
সমাবেশ স্থলের পাশেই শহীদ মিনার চত্বরে পৌর আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত সম্মেলন চলছিল। সেখানে উচ্চ আওয়াজে মাইকিং হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন মিছিলকারীরা। একপর্যায়ে তারা সম্মেলনের মঞ্চে উঠে মাইক চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর শুরু করেন ও ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন। ঘটনার পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।