ঢাকাWednesday , 22 June 2022

যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন, পানিতে ৫০ হাজার পরিবার দিশেহারা।

Zero News
June 22, 2022 3:20 pm
Link Copied!

কাজী মোস্তফা রুমি, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক হারে প্রতিদিনই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে উপজেলার গোবিন্দাসী, গাবসারা, নিকরাইল ও অর্জুনা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভাঙন কবলিত মানুষ। এরই সাথে বিশুদ্ধ পানির সংকটেও পড়েছেন ভানবাসিরা।

এদিকে, উপজেলার গাবসারাসহ নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সাথে চরাঞ্চলের অসংখ্য পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়ে গোবিন্দাসীর যমুনা বেড়িবাঁধ (কালা সড়কে) পলি কাগজের ছাউনি তৈরি করে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ভেঙে পানির তীব্র স্রোতে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। অপরদিকে, চরাঞ্চলে গবাদিপশু নিয়ে দুর্ভিষহ দিন কাটাচ্ছে বানভাসিরা। বন্ধ রয়েছে বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান। ভেসে যাচ্ছে পুুকুরের মাছ। তলিয়ে যাচ্ছে পাট, আউশ ধানসহ বিভিন্ন ফসল।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৪৭, ঝিনাই নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৫৪ এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার সরেজমিন উপজেলার খানুরবাড়ী, ভালকুটিয়া ও চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পানি উঠেছে। তলিয়ে গেছে যাতায়াতের রাস্তাঘাট। ঘরবাড়ি ও আশপাশে পানি প্রবেশ করায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছে লোকজন। দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের অভাব। ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান জানান, উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের বন্যার্দুগত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এখনো কোনো বরাদ্দ পাইনি। বরাদ্দ পেলেই বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।